Friday, June 8, 2012

মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে সরাসরি সম্প্রচার করুন ফেসবুকে

আমরা আনেক সময় বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। কিন্তু ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও প্রিয়জনেরা সবাই হয়ত আসতে পারেন না। আবার অনেক সময় আমরা এমন সব মজার মজার সাথে জড়িয়ে যায়, তখন মনে হয় সবাইকে যদি দেখাতে পারতাম। যারা প্রতিনিয়ত এই ধরবের পরিস্তিতির সম্মুখীন হন, তাদের জন্য আমার আজকের এই টিউন।

হ্যাঁ, এবার আপনিও হতে পারবেন একটি অনলাইন টিভি চ্যানেলের গর্ভিত মালিক। আর সেটা প্রকাশ করতে পারবেন ফেসবুক, ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটে। শুধুমাত্র সহজ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে যে কোন অনুষ্ঠান, সেমিনার, মিটিং বা আড্ডাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করতে পারবেন। আশা করি টিউনটি পড়ার পরে সবার কাছে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে।

যেভাবে চ্যানেল তৈরি করবেন:

আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে অনলাইলে একটি টিভি চ্যানেল তৈরি করা। চ্যানেল তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম ustream.tv তে নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য এখানে ক্লিক করুন  এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে "signup" করুন। এবার ইমেল ঠিকানাটি নিশ্চিত করে একাউন্ট সক্রিয় করুন এবং login  করুন। পরবর্তি ধাপে চ্যানেল তৈরি করার জন্য Dashboard থেকে Create Channel অপশনটিতে ক্লিক করুন।



 এবার আপনার চ্যানেলের একটি সুন্দর নাম দিয়ে Create বাটন ক্লিক করুন। এ পর্যায়ে যে পেইজটি আসবে সেখানে আপনার চ্যানেলের Show name, category, channel tags, channel picture, about ইত্যাদি তথ্য দিয়ে Save করুন। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার চ্যানেল তৈরি যাবে এবং আপনি একটি লিংক পেয়ে যাবেন যেমন http://www.ustream.tv/channel/bartavubon । লিংকটি পেতে "Go to Channel" বাটনে ক্লিক করুন।

যেভাবে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবনে:

আমরা ইতিমধ্যেই একটি অনলাইন টিভি চ্যানেল তৈরির কাজ শেষ করেছি। এ পর্যায়ে আমরা আমাদের চ্যানেলে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্পচার বা live broadcast করব। ustream.tv তে বেশ কয়েকভাবেই live broadcast করা যায়। এখানে শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে কিভাবে সরাসরি সম্প্রচার করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।


বর্তমানে iPhone, iPad এবং Android 2.1+ সামর্থিত স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট পিসি দিয়ে এই সুবিধা উপভোগ করা যাবে। এজন্য প্রথমে আপনার স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসিতে "ustream" নামে একটি Apps ইনস্টল করতে হবে। এনড্রইড ব্যাবহারকারীরা Google Play থেকে এবং আইফোন ও আইপ্যাড ব্যাবহারকারীরা iTunes থেকে  Apps টি ডাউনলোড করতে পারবেন।


Apps ইনস্টল করে live broadcast এর জন্য আপনার ডিভাইস থেকে Apps টি Open করুন। এবার Go Live বাটনটিতে ট্যাচ করুন। এপর্যায়ে আপনার ustream.tv ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে login করুন। সঠিক ভাবে login সম্পর্ন হলে আপনি আপনার চ্যানেলে live broadcast করতে পারবেন। এজন্য আপনার মোবাইলে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ সক্রিয় থাকতে হবে।  মোবাইল ছাড়াও ওয়েবক্যাম দিয়ে live broadcast করা যবে।

যেভাবে ফেসবুকে সম্প্রচার করবেন:

আপনি আপনার চ্যানেলটি শুধুমাত্র ফেসবুক পেইজের সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন। আর এজন্য সর্বপ্রথম এই লিংকটিতে ক্লিক করুন। নিচের মত একটি পেইজ প্রদর্শিত হবে।


 এখান থেকে Get it Now বাটনটি ক্লিক করুন। পরের পেইজ থেকে Add this application to: এর ঘর থেকে আপনি যে পেইজ টি তে আপনার চ্যানেল যোগ করতে চান সেই পেইজটি সিলেক্ট করে " Add Ustream Live" বাটনে ক্লিক করুন।


 আপনার ফেসবুক পেইজে Ustream Live নামে একটি অপশন যুক্ত হয়ে যাবে। এ পর্যায়ে Ustream Live  অপশনে ক্লিক করুন। এখান থেকে আপনি যে চ্যানেল টি যোগ করতে চান সেই চ্যানেল টির পাশের "Put on Page" বাটনে ক্লিক করুন।

 প্রয়োজনে আপনি ডিজাইন ও লেআউট পরিবর্তন করতে পারবেন। সবশেষে একদম নিচে থেকে "Save" বাটনটি ক্লিক করুন। আপনার পেইজের সাথে চ্যালেনটি যুক্ত হহে যাবে। যেমন: এই পেইজটি দেখে আসুন।  এখান থেকে আপনি আপনার ফেসবুক Friends দেরকে আপনার চ্যানেল পেইজে Invite করতে পারবেন।


সবকিছু ঠিক থাকলে এখন থেকে আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার করতে পারবেন।

সৌজন্যে: http://bartavubon.com/
সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

Tuesday, June 5, 2012

সোশ্যাল বুকমার্কিং কি এবং এর ইতিহাস ও সুবিধা সমূহ

সমাজিক যোগাযোগের এই যুগে সোশ্যাল বুকমার্কিং হচ্ছে সাইট প্রমোশনের সবচেয়ে সহজ, টেকসই ও জনপ্রিয় মাধ্যম। একমাত্র সোশ্যাল বুকমারকিং এর মাধ্যমে সরাসরি লিংক মার্কেটিং করা যায় এবং সেটা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। এজন্য ওয়েব ডিজাইনাররা খুব সচেতন ভাবেই তাদের সাইটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোশ্যাল শেয়ারিং বাটন স্থাপন করে থাকে। আজ এই পোষ্টে সোশ্যাল বুকমারকিংয়ের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।


সোশ্যাল বুকমার্কিং কি?

সোশ্যাল বুকমার্কিং হচ্ছে মূলতঃ ভার্চুয়াল লিংক ডায়েরী। সাধারণতঃ আমরা যখন কোন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট বা ওয়েবলিংক খুজে পাই তখন সেটা ব্রাওজারে সেইভ করে বা বুকমার্ক করে রাখি। ঠিক একই কাজ আমরা সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটেও করতে পারি। তবে এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে লিংকটি আমরা যে কোন যায়গা থেকেই প্রবেশ করতে পারি এবং খুব সহজেই বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারি।

লিংক সংরক্ষণ ও শেয়ারের ধরণ অনুযায়ী সোশ্যাল বুকমার্কিং তিন প্রকারের হয়ে থাকে।

১। Private Social Bookmarking Site - এই ধরণের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটে সংরক্ষিত লিংকগুলো যিনি সংরক্ষণ করেছেনে শুধুমাত্র তিনি দেখতে পারেন। সাধারনত Google Bookmarks এই ধরনের সেবা দিয়ে থাকে।
২। Circle or Group Social Bookmarking Site - এই ধরণের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটে  লিংক সংরক্ষণের সুবিধা হচ্ছে শেয়ারকৃত লিংকগুলো একটি গ্রপের বা ফ্রেন্ডলিষ্টের সবাই দেখতে পারেন এবং তাদের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারেন। সাধারণত Facebook, Twitter, Google plus থেকে আমরা এই ধরনের সেবা পেয়ে থাকি।
৩। Open Social Bookmarking Site - এই ধরণের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটে শেয়ার করা লিংক গুলো সবার জন্যই উন্মুক্ত থাকে। ফলে যে কেওই অন্যদের শেয়ার করা লিংক থেকে উপকৃত হতে পারেন। Digg হচ্ছে এই ধরণের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটের সব চেয়ে বড় উদাহরণ।

সোশ্যাল বুকমার্কিংয়ের ইতিহাস:

সোশ্যাল বুকমার্কিং এর ধারণাটি সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালের এপ্রিল মাসে সবার সামনে নিয়ে আসে itList.com নামের একটি ওয়েবসইট। কয়েক বছরের মধ্যেই এই ধরনের বেশকিছু সাইট গড়ে ওঠে তার মধ্যে  Backflip, Blink, Clip2, Hotlinks এবং Quiver বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে ঐ সময়ে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর ধারণাটি জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যার্থ হয়।

পরবর্তিতে ২০০৩ সালে Delicious (del.icio.us) নতুন আঙ্গিকে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর সেবা নিয়ে সবার সামনে উপস্থিত হয় এবং খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকে। ২০০৪ সালে Digg সোশ্যাল বুকমার্কিং ব্যাবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে। তারা  এই ব্যাবস্থায় সাথে Related System, Comments System, Open Platform System, Ranking এবং Voting System এর মত সেবাসমূহ যুক্ত করে। আর বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট ব্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যেটার কথা চিন্তা করা হয় সেটা হল সোশ্যাল বুকমার্কিং।

সোশ্যাল বুকমার্কিং এর সুবিধা সমূহ:

বর্তমানে সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটগুলো শুধুমাত্র বুকমার্কিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এতে যুক্ত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের নানা সেবা। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের ফলাফল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। নিন্মে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর প্রধান প্রধান সুবিধাগুলো তুলে ধরা হল-










  •  খুব সহজেই যেকোন ধরনের লিংক শেয়ার ও সংরক্ষণ করা যায়।
  • প্রযোজনীয় লিংকগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে ব্যাবস্থাপনা করা বা সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা যায়।
  • "DoFollow Backling" পাওয়া যায়।
  • মানসম্পন্ন ভিজিটর পাওয়া যায়।
  • অন্য সদস্যদের সাথে বার্তা আদান প্রদান বা যোগাযোগ করা যায়।
  • গ্রুপ গঠন যায় এবং যেকোন গ্রুপে যোগদান করা যায়।
  • সোশ্যাল শেয়ারিং বাটন এর মাধ্যমে যে কোন সাইট থেকেই খুব সহজেই লিংক বুকমার্কিং করা যার। 
  • অন্যদের শেয়ার করা লিংক থেকে খুব সহজেই নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পাওয়া যায়।
  • যেকোন লিংকের মানদন্ড বিচার করা যায় এবং অতিরিক্ত তথ্য ও মন্তব্য যোগ করা যায়।
বাংলা ভাষায় সোশ্যাল বুকমার্কিং:


অনলাইনে বাংলা Content এর ক্রমবর্ধমান প্রসারতার কথা মাথায় রেখে ২০১১ সালের শেষের দিকে আধুনিক সোশ্যাল বুকমার্কিংয়ের যাবতীয় সুযোগ সুবিধার সমন্নয়ে সম্পূন্ন বাংলা ভাষায় নির্মান করা হয় bartavubon.com। আমরা জানি যে প্রতিটি ওয়েবপেইজ বা ব্লগ পোষ্টই একটি নিদ্রিষ্ট বার্তা বহন করে, আর এই তথ্যপূর্ণ বার্তাগুলোকে সবার নিকট তুলে ধরাই বার্তা ভুবনের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে লিংক শেয়ারিং ও সংরক্ষণের মাধ্যমে ব্যাক্তিগত প্রয়োজন যেমন মিটবে, আপর দিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংগ্রহের সমন্নয়ে গড়ে উঠতে পারে একটি "সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডার"।